• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২রা পৌষ ১৪৩২ দুপুর ০১:০৮:২৯ (16-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:

বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার : ১৬ ডিসেম্বর ৫৫তম মহান বিজয় দিবস। দিনটি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে বাঙালি জাতি। তাই যেন কমতি নেই কোন আয়োজনের। জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ধুয়ে-মুছে রং-তুলির আঁচড়ে দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে সৌধ প্রাঙ্গণ। লেক সংস্কার, সীমানা প্রাচীর ও বিভিন্ন স্থাপনা মেরামতসহ জোরদার করা হয়েছে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।বিজয় দিবসে প্রথম প্রহরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকসহ বিশিষ্টজনেরা। এরপরই সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে সাধারণের। তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদী।জাতীর বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তুতি হিসেবে সৌধ প্রঙ্গণে সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এমন প্রস্তুতি। প্রস্তুতির অংশ হিসাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, ধোয়া-মোছা,  রঙ-তুলির কাজসহ সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।সৌধ প্রাঙ্গণের প্রধান ফটক থেকে শহীদ বেদি পর্যন্ত লাল ইটের হেরিবন্ডগুলো সাদা রঙের আভায় পবিত্র করে তোলা হয়েছে। সবুজ বৃক্ষরাজি, লাল ইটের প্রাচীর ও কনক্রিটে ঘেরা সৌধ চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙিন ফুল। সৌরভ ছড়াচ্ছে পুরো সৌধ চত্বরে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিরলস পরিশ্রম আর ধোয়ামোছায় শহীদ মিনার, শহীদ বেদি, হ্যালিপ্যাডসহ সড়কগুলো হয়ে উঠেছে চকচকে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফুলগাছের টবগুলো স্থানান্তরের মাধ্যমে সৌধ এলাকাকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলছেন মালীরা।সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার খান আনু বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা মন্ডলী, বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখ লাখ মানুষ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সেই লক্ষ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সকে ধুয়ে-মুছে পরিপাটি করা, ফুল দিয়ে সাজানো, রংতুলির কাজ, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে এসে ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের স্মরণে আগামী ১৬ই ডিসেম্বরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমিনবাজার থেকে শুরু করে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের তিনটি মৌজা নিয়ে স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৮৮ সালে সম্পন্ন হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ। ত্রিভুজাকৃতির ৭টি মিনারের সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৫০ ফুট। যা আমাদের স্বাধীনতার স্মৃতি বহন করে।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান