• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২রা পৌষ ১৪৩২ দুপুর ০১:১০:১১ (16-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:

সাজেকে বন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, ১৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন সাজেকের মাচালং বাজার এলাকায় অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের মাচালং রেঞ্জের সদর বিট অফিসে সংঘবদ্ধ হামলা, ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলাটি দায়ের করেন মাচালং রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান।মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে সাজেক থানাধীন মাচালং বাজারে অবস্থিত বন বিভাগের সদর বিট অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে মাচালং সদর বিটের আওতাধীন এ্যাগোজ্জাছড়া (১৪ কিলো) সংরক্ষিত বনের কম্পার্টমেন্ট নম্বর ৬১-এর ভেতরে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বন বিভাগের একটি অভিযান পরিচালিত হয়।অভিযান শেষে দুপুরে তিনি বাঘাইহাটে অবস্থানকালে সংবাদ পান যে, উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে একদল লোক সংঘবদ্ধভাবে মাচালং সদর বিট অফিসে হামলা চালিয়েছে।এজাহারে আরও বলা হয়, বিটন চাকমা, প্রদীপ চাকমা (রনির বাবা), সুখী চাকমা ও বাবুধন চাকমার নেতৃত্বে আসামিরা দা, লাঠি-শোঠা, ইট-পাটকেল ও কাচের বোতল হাতে মিছিল করতে করতে বন বিভাগের অফিসে প্রবেশ করে।তারা অফিসের প্রধান গেট ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে টিনশেড ঘরের দরজা-জানালা, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরকারি মালামাল ভাঙচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র নষ্ট করে বলে অভিযোগ করা হয়।এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পাশের পাকা ভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে ভবনের বারান্দার গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।এ সময় অফিসে কর্মরত স্টাফদের ব্যক্তিগত একটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। হামলার সময় অফিসে দায়িত্বে থাকা মো. আশরাফুল আলম ইট ও কাচের বোতলের আঘাতে গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাঘাইহাট জোন ও সাজেক থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।পরে আহত কর্মচারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।এজাহারে মাচালং সদর বিট অফিসে সংঘটিত ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ছয় লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।বাদী জানান, ঘটনার পর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ, ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে থানায় এসে এজাহার দাখিল করায় কিছুটা সময় বিলম্ব হয়।প্রসঙ্গত, সংরক্ষিত বন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সাজেক ও আশপাশের এলাকায় এর আগেও একাধিকবার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।