• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ৩রা পৌষ ১৪৩২ রাত ০৯:০৮:২৯ (17-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

শ্রীপুরে অর্ধ কোটি টাকার ভেজাল সার কারখানা সীলগালা

গাজীপুরের (শ্রীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘আলিফ ফার্টিলাইজার’ নামে একটি অবৈধ ও ভেজাল সার কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।১৭ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে আর্ধ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।​গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানাটিতে বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে ইটের গুঁড়া ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল নকল সার। জিপসাম, জিংকসহ নানা প্রকারের সার প্যাকেটজাত অবস্থায় সারিবদ্ধভাবে সাজানো ছিল।​অভিযানে জব্দকৃত উল্লেখযোগ্য মালামালের মধ্যে রয়েছে:​৮ টন আলিফ জিপসাম।​২ টন পাওয়ার জৈবসার।​২ টন শক্তি জিংক প্লাস।​১.৫ টন গ্রোজিংক।​১.৫ টন খোলা জিপসাম।​১.২৫ টন জিপসামের কাঁচামাল।​৯৫০ কেজি ইটের গুঁড়া।​১ টন গোটা মুসুর (ভেজাল তৈরির মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহৃত)।​এছাড়াও রোটন প্লাস, ডায়াজিনন, ফরফুরান এবং ইটের খোয়া দিয়ে তৈরি নিষিদ্ধ বাসুডিনসহ সার তৈরির সরঞ্জাম ও মেশিন।​উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জব্দকৃত শুধুমাত্র প্যাকেটজাত ভেজাল সারগুলোর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। কাঁচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ সামগ্রিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হতে পারে।​অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, "কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা করে ইটের গুঁড়া দিয়ে এসব বিষাক্ত ও নকল সার তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা কারখানাটি সীলগালা করে দিয়েছি এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযানের সময় মালিকপক্ষকে পাওয়া না গেলেও তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।"​অভিযানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফরোজা এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কবির হোসেন।