• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ৩রা পৌষ ১৪৩২ দুপুর ০১:৩৪:০১ (17-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ফিলিস্তিনিসহ আট দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি পাসপোর্টধারী এবং সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞাভুক্ত দেশগুলো হলো— বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন, লাওস ও সিরিয়া।ওয়াশিংটনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউস থেকে গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় ও জননিরাপত্তাজনিত হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্ক্রিনিং, যাচাই-বাছাই এবং তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্থায়ী ও গুরুতর ঘাটতির কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।এর আগে গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই দেশগুলো হলো— আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন।পরে গত ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা অন্তত ৩২টিতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে তখন অতিরিক্ত ১৩টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়নি।সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী সিডনির বন্ডি সমুদ্রসৈকতে বন্দুক হামলায় ১৬ জন ইহুদি নিহত হওয়ার ঘটনার পর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনাকে অপ্রত্যাশিত মনে করা হয়নি।তবে সিরিয়ার নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। কারণ, এর অল্পদিন আগেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ শারা হোয়াইট হাউসে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাবেক আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট শারার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই সফরের আগে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।