• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১০ই কার্তিক ১৪৩২ রাত ১০:৫৬:২২ (25-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোমা ফাটিয়ে বাড়িতে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, হামলায় আহত ২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঢোড়বোনায় ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বসতবাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ যুবক।১৭ অক্টোবর শুক্রবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢোড়বোনা শিরোটোলা গ্রামের মৃত বাহাদুর মন্ডলের ছেলে জমি ব্যবসায়ী ময়েজ উদ্দিনের (৫৫) বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।এসময় ময়েজ উদ্দিনের দুই ভাতিজা সুজন ও রিপনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত সুজন আলী (২৫) একই গ্রামের নুরুল ইসলাম ভগু মন্ডলের ছেলে ও রিপন আলী (২৪) আব্দুর রাকিবের ছেলে। বাড়িতে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় হামলাকারীরা। এছাড়াও বাড়ির টিভি, ফ্রিজ, দরজাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা৷হামলা ও মারধরের শিকার পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার সাফু মন্ডলের ছেলে মো. সেন্টুর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে ময়েজ উদ্দিনের। সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্কের অবনতি হলে শুক্রবার সকালে সেন্টু দলবল নিয়ে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ময়েজ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর চালায়।এসময় ময়েজ উদ্দিন ও তার ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে তার দুই ভাতিজা সুজন ও রিপনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরমধ্যে সুজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রিপন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।জমি ব্যবসায়ী ময়েজ উদ্দিনের স্ত্রী এমেলী বেগম বলেন, হঠাৎ করেই সেন্টুর নেতৃত্বে সকালে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে স্বামী ও ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। প্রত্যেক ঘরে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে হামলাকারীরা। এমনকি বাড়িতে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এখনো আমার স্বামী ও ছেলে বাড়িতে আসতে পারছে না। ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে সেন্টু ও তাদের লোকজন।ময়েজ উদ্দিনের বোন শরিফা খাতুন জানান, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বাড়ির মধ্যে ঢুকে প্রত্যেক ঘরের সবকিছুর উপর তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। আমরা এর বিচার চাই।আহত সুজন আলীর বাবা নুরুল ইসলাম ভগু বলেন, আমাদের সাথে কোন দ্বন্দ্ব নেই। এমনকি আমরা ঘটনার কিছুই জানি না। কিন্তু ময়েজ ও তার ছেলেকে না পেয়ে আত্মীয় হওয়ায় আমার ছেলের উপর হামলা করে। তার অবস্থা খুবই গুরুতর। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।হামলা-ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া। তিনি জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত এনিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।