• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২রা পৌষ ১৪৩২ রাত ১০:৪৮:৫৪ (16-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন এই মুহূর্তে প্রধান জাতীয় স্বার্থ: জোনায়েদ সাকি

সভার প্রতিনিধি : বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় স্বার্থ উল্লেখ করে, যারাই এখন সংস্কার এবং নির্বাচনকে কোনোভাবে ব্যাহত করবে তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থের ঊর্ধ্বে অবস্থান নেবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।এছাড়াও পতিত ফ্যাসিস্টরা গুপ্ত হামলার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় উল্লেখ করে, ওসমান হাদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, আমরা মনে করি বিচার, সংস্কার, নির্বাচন এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় স্বার্থ। যারা সংস্কার এবং নির্বাচনকে কোনোভাবে ব্যাহত করবে তারা বাংলাদেশের স্বার্থের ঊর্ধ্বে এবং জনগণের স্বার্থের ঊর্ধ্বে অবস্থান নেবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংস্কার এবং বিচারের যে পথরেখা, সেটাকে সফল করতে হবে।তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্টরা গুপ্ত হামলার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করতে চায়। ওসমান হাদিকে যেভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করা দেওয়া হলো, এর মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা স্পষ্ট হলো। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে যারা সেই দায়িত্ব অবহেলা করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনের পরিবেশ যারা ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়, তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। বাংলাদেশে নির্বাচনকে সফল করতে হবে।জোনায়েদ সাকি এ সময় বলেন, আজকে আমরা যখন বিজয় দিবস পালন করছি, তখন আমাদের শহীদদের রক্তের ঋণ আমাদের বহন করতে হবে। এই দেশের বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন—এটাকে সফল করতে হবে। আমরা যেমন হত্যাকারীদের বিচার চাই, তেমনি বাংলাদেশ সংস্কারের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাবে—এটাই ছিল শহীদদের আকাঙ্ক্ষা। এই সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে গেলে আজকে বাংলাদেশে নির্বাচন অপরিহার্য। পতিত ফ্যাসিস্টরা তাদের দেশি-বিদেশি পৃষ্ঠপোষকদের নিয়ে আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আবেদনকে ব্যর্থ করতে চায়। শুধুমাত্র পতিত ফ্যাসিস্ট না, এদের পাশাপাশি কোনো কোনো রাজনৈতিক মহল চেষ্টা করছে যাতে নির্বাচন পিছিয়ে যায়।তিনি এ সময় আরও বলেন, আমাদের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে পথ, এখানে আমাদের ন্যূনতম জাতীয় ঐক্যমত্য দরকার। অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর একসাথে থাকা দরকার, প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু এর পাশাপাশি যদি ন্যূনতম ঐক্যমত্য থাকে, তাহলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি করতে সক্ষম হবো। আর না হলে এই বিরোধের ফাঁক ধরে এই অভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করা হবে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের যে পথরেখা, এই বিষয়ে যদি জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে কোনো শক্তি, কোনো ষড়যন্ত্রকারী এটাকে ব্যর্থ করতে পারবে না। এজন্য আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।